সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি

সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি নিয়ে  আজ আমার  আলোচনা করতে চলেছি। তাই আপনি যদি গরু মোটাতাজা করণ পদ্ধতি জানতে চান বা গরু মোটাতাজা করণ করতে চান তবে আমাদের আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে পড়ুন। কিভাবে সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ করতে হয় সে নিয়ম তুলে ধরবো আপনাদের সামনে। 

গরু-মোটাতাজাকরণ-পদ্ধতি

সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতির না জানার কারণে অনেক সময় গরুর প্রাণনাশ হতে পারে।  তাই আজ আমরা জানবো দেশীয় ও বিদেশী  ষাড় গরু ও গাভী গরু কিভাবে মোটা তাজা করণ করতে হয়। 

পোস্টটির সূচিপত্র : গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি 

সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি 

সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি না জানার কারণে আমরা আর্থিকভাবে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি উন্নত দেশেগুলোর চেয়ে। উন্নত দেশগুলো তাদের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে অল্প দিনে সঠিক নিয়মে পশু পালন করে দেশের পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করছে।তাই আমাদেরও সময় হয়েছে সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার। কৃষি প্রধান দেশের বিশেষ করে গ্রামীণ জীবনে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পশু পালন তথা গরু পালন। আর সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি জেনে গরু পালন করলে অল্প দিনে অধিক লাভবান হওয়া যায়।


সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য আমাদের কয়েক ধাপের মধ্যে দিয়ে  অতিক্রম করতে হবে। তার মধ্যে হচ্ছে প্রথম সঠিক গরু নির্বাচন করা, গরুর বাসস্থান সঠিকভাবে তৈরি করা, গরুকে নিয়মিত সঠিক পরিমাণে সুষম খাদ্য দেওয়া, গুরুকে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা এবং গরু মোটাতাজাকরণের যেসব ভিটামিন পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়ানো। সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি না জানার অনেকের গরু মারাও যাচ্ছে। তাই গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি জানার জন্য আমাদের আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

সঠিক গরু নির্বাচন করতে হবে 

সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতির প্রথম ধাপ হচ্ছে সঠিক গুরুর নির্বাচন করা। করুন মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য আমাদের স্বাস্থ্যহীন তবে রোগমুক্ত গরু নির্বাচন করতে হবে। পুরো মোটাতাজাকরণের জন্য সঠিক সময় হচ্ছে কোরবানি ঈদের ৩-৪ মাস আগে থেকে। কারণ আমাদের দেশে কুরবানী ঈদে প্রচুর চাহিদা থাকে।  গরু মোটা তাজা করনের জন্য এক থেকে দুই বছর বয়সীকরণ নির্বাচন করতে হবে। তবে কোরবানি ঈদের জন্য দুই দাঁতের গরু নির্বাচন করা ভালো।

তাছাড়া গরু নির্বাচনের জন্য রোগ মুক্ত গরুর বাছাই করতে হবে। গরু যেন লম্বা হয়, চামড়া ঢিলা হয়, গরুর পেছন চওড়া হয়,  গরুর মাথা যেন চওড়া থাকে, গরুর লেজ ও শিং স্বাভাবিক থাকে এমন গরু নির্বাচন করলে।অল্প সময়ে বেশি লাভবান হওয়া যাবে। গরুর কালার দেখে গরু নির্বাচন করতে হবে তাহলে বিক্রি করার সময় গরুর চাহিদা বেশি থাকবে।

গরুর বাসস্থান যেভাবে তৈরি করতে হবে 

গরুর মোটাতাজাকরণের জন্য গরুর বাসস্থান সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে এতে গরুর অসুখ-বিসুখ কম হবে। গরুর রোগ মুক্ত থাকবে। গরুর ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো বাতাস পায় সেরকম জায়গায় গরুর ঘর তৈরি করতে হবে। গরুর ঘর যদি মাটির বা কাচা  হয় তবে গরুর ঘরের মেঝে উঁচু করে রাখতে হবে, যাতে পানি জমে না থাকে। গরুর ঘর তোদের টিম দিয়ে যাওয়া থাকে তবে টিনের নিচে কিছু চাটাই দিতে হবে যাতে প্রচন্ড রোদে তাপমাত্রা কম থাকে। সেরকম হলে গরুর ঘরে ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে। আর গরুর ঘর যদি পাকা হয় তবে উঁচু করেই দিয়ে কাটতে হবে। গরুর ঘর পাকা হোক বা কাঁচা স্যাঁতস্যাতে যেন না হয়ে থাকে খেয়াল রাখতে হবে। 

দোচালা বিশিষ্ট গোয়াল তৈরি করার জন্য মাঝখানে 
গরুর ঘরে পর্যাপ্ত আলো এবং বাতাসের অবস্থা রাখতে হবে। গরুর ঘর এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যেন সামনে উঁচু এবং পিছন সাইড ঢালু হয়। এতে গরুর মলমত্র তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। গরুর মতো পরিষ্কার করার জন্য গরুর ঘরের পাশে একটি ড্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। গরুর ঘর পূর্ব পশ্চিম লম্বা বা উত্তর দক্ষিণ লম্বা রাখতে হবে এতে করে আলো বাতাস সহজে চলাচল করতে পারবে। 
আরো যেসব বিষয় মাথায় রেখে গরুর ঘর নির্বাচন করতে হবে তা হলো:
  • গরুর ঘর সবসময় উঁচু স্থানে তৈরি করতে হবে 
  • গরুর ঘরে পর্যাপ্ত আলোর বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। 
  • গরুর ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। 
  • গরুর ঘর তৈরি করার জন্য সর্বনিম্ন ৮ ফুট উচ্চতায় চাল দিতে হবে। 
  • গরুর ঘরের পাশে ০.৫ ফুট আকারের ট্রেনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ তো করে মর্ম তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করা যাবে।
  • গরুর ঘর তৈরি করার সময় একটি পূর্ণ বয়স্ক গরুর জন্য ১০০ বর্গফুট বাছুর গরুর জন্য ২০ বর্গফুট জায়গা বরাদ্দ রাখতে হবে। 
  • দুই চালা বিশিষ্ট গরুর ঘর তৈরি করার জন্য মাঝখানে ২.৫ ফুট আকারে খাবারের জায়গা রাখতে হবে। 
  • জায়গা বেশি থাকলে  ষাঁড় গরু, গায় গরু এবং  বাছুর গরু আলাদা রাখার ব্যাবস্থা করতে হবে। 

গরু মোটাতাজাকরণ যে সব খাবার দিতে হবে 

গরু মোটাতাজাকরণের প্রথম ধাপ হচ্ছে সঠিক খাবার নির্বাচন। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য গরুকে পুষ্টিকর ও দানাদার এবং আশঁ যুক্ত খাবার দিতে হবে। গরু লালন পালন করার জন্য যে মোটা অংক টাকা ব্যয় হয়ে গরু মোটাতাজ করুন বা গরুর খাবার কেনার জন্য। গরম মোটাতাজাকরণের জন্য রোগমুক্ত, বা হাড্ডি শার গরু বা বাংলায় যাকে আমরা বলি খ্যাদ মরা গরু নির্বাচন করতে হবে। যেসব গরু খ্যাদ অভাবে পাতলা শাতলা সেসব করুন মোটাতাজা করুন করলে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তবে গরু অবশ্যই রোগ মুক্ত হতে হবে। 

গরুর পুষ্টিকর খাবার তৈরি করার জন্য কয়েকটি ভাগে গরুর খাবার তৈরি করতে হবে। যেমন আঁশযুক্ত খাবার, দানাদার খাবার, তরল খাবার, পুষ্টিকর খাবার।  

আঁশযুক্ত খাবার 
  1. আঁশযুক্ত খাবার গরুমোটাতাজা করণে বিশেষ ভুমিকা রাখে। 
  2. আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে পরে সবুজ ঘাস, খড়, লতা জাতীয় উদ্ভিদ ইত্যাদি। 
  3. আাঁশযুক্ত খাবারে প্রচুর ফাইবার থাকে যা হজমে সাহায্য করে। 
দানাদার খাবার 
  1. দানাদার খাবার গরুর শরীরের ভিটামিন চাহিদা মেটায়।
  2. প্রতিদিন একটি পূর্ণবয়স্ক গরুকে এক কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে । 
  3. চাল ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টা ভাঙ্গ দিয়ে দানাদার খাবার তৈরী করতে হবে গরু মোটাতাজা করণ এর জন্য । 
  4. সরিষার খোল ভিজিয়ে রেখে গরুকে খাওয়ানো হয় দানাদার খাদ্য হিসেবে।  
  5. দানাদার খাবার গরুর শরীরের মাংস বৃদ্ধি করে। 
পুষ্টিকর খাবার বা সুষম খাবার 
গরুকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। এতে গরুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। সুষম খাবার তৈরি করা হয় সাধারণত খড়, সবুজ ঘাস ,গমের ভূসি, খৈল, পানি ও সামান্য লবণ মিসিয়ে । ষাড় গরু ও গাভী গরু উভয়ে কে নির্দিষ্ট পরিমানে সুষম খাবার দিতে হবে ।

গরু মোটাতাজাকরণে যে সব ঔষুধ দিতে হবে 

গরু মোটাতাজা করণের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি ছাড়াও কৃত্রিম পদ্ধিতে ঔষুধ সেবনের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করা যায়। যে সব ঔষুদের মাধ্যমে কনো সাইড ইফেক্ট ছাড়াই গরু মোটাতাজা করণ করা যায় তা হলো  টোডাক্স, নাইট্রোজেন ও এমেকটিন প্লাস ইনজেকশন, Herbotop বা Zymogen Power  এর মতো ভিটানিম পাউডার এবং GROWIX এর মতো গ্রোথ বুস্টার ব্যবহার। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য কৃমিনাশক, ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট, রুচিবর্ধক ব্যবহার করা যেতেপারে। তবে ঔষধ ব্যবহারে আগে একজন পশুচিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া দরকার। 

গরু-মোটাতাজাকরণ-পদ্ধতি

ষাড় গরুর যেভাবে যত্ন নিতে হয় 

গরুর মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে ষাড় গরুর যত্ন একটু আলাদাভাবেই  নিতে হয় কারণ ষাড় গরু থেকে পরবর্তী  গরুর জাত তৈরি হয়। তাই উন্নত মানের জাত উৎপাদনে ষাড় গরুকে উন্নত মানের পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়। 

ষাড় গরুর জন্য ১০০ কেজি দানাদার খাদ্য তালিকা 
      • গমের ভুসি ৫০% 
      • চালের গুড়া ২৪% 
      • খৈল ( সরিষা / তিল ) ১৫% 
      • কালাই/ছোলা/ মটর ১০% 
      • লবণ ১.৫ কেজি 
এবং অন্যান  গুরুত্বপূর্ন  উপাদান হিসেবে  ইউরিয়া , চিটাগুড় দেওয়া যেতেপারে। প্রতিদিন ১০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড় গরুকে বা মহিষকে ১.৫ কেজি খাদ্য দিতে হবে।

ষাড় গরুকে প্রতিদিন নিয়মমাফিক খাবার দিতে হবে। 
  • যেমন সবার প্রথমে খড় ও ঘাস ছোট্ট ছোট্ট করে কেটে দিতে হবে। 
  • এর পর গরুকে সবুজ ঘাস ও ঘরের সাথে দানাদার খাদ্য মিশিয়ে দিতে হবে 
  • তারপর একে একে দানাদার খাদ্য এবং খৈল, ভূসি ও পানি দিতে হবে। 
  • প্রতিদিন গরুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়াতে হবে।
  • নিয়ম করে দুই বেলা খাদ্য দিতে হবে। এবং ওজন বাড়ার সাথে সাথে দানাদার খাদ্যের পরিমাণ কমাতে হবে 
  • ষাঁড় গরুর খাদ্য তালিকায় প্রোটিন যুক্ত ও  শক্তি সম্পন্ন খাবার দিতে হবে। 

গাভী গরুর যেভাবে  যত্ন নিতে হবে 

গাভি গরু আমদের বাচ্চা এবং দুধের চাহিদা মেটায় । তাই গাভী গরুর যত্ন বিশেষ ভাবে নেয়া উচিত। গাভী গরুর খাদ্য তালিকায় পরিমাণ সবুজ ঘাস লতাপাতা রাখতে হবে এতে করে দুধের পুষ্টিগুণ বাড়ে এবং গাভীর বাছুর স্বাস্থ্যবান হয়। গাভী গরুর যত্ন নেওয়ার জন্য প্রয়োজন একটি মানসম্মত বাসস্থান, পুষ্টিকর খাবার এবং প্রজনন সময়ে সঠিক পরিচর্যা ও বিশেষ বাচ্চা হওয়ার পরবর্তী সময়ে। এ সময় গাভী ও বাছুরের আলাদা করে যত্ন নিতে হয় এবং বাড়তি খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। 


গাভী গরুর যত্ন যে ভাবে নিতে হয় তা পয়েন্ট আকারে  দেখানো হলো। 
  • গাভী রাখার জন্য সমতল জায়গা নির্বাচন করতে হবে।যেখানে পানি যমে থাকেনা এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো। 
  • গাভী এবং গাভীর ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। 
  • গাভী এখানে থাকবে সেখানে যেন পর্যাপ্ত জায়গায় থাকে সেরকম ভাবে ঘর তৈরি করতে হবে এবং ঘরে যেন আলো বাতাস চলাচল করতে পারে সে দেখিও লাগতে হবে। প্রয়োজনে লাইট ও ফ্যানের ব্যবস্থা করতে হবে 
  • গাভীকে দৈনিক দাদার খাদ্য দিতে হবে দুই থেকে তিন কেজি দানাদার খাদ্য দিতে হবে। 
  • তাছাড়া গাভীকে দৈনিক সবুজ ঘাস, খড় এবং দানাদার সুষম খাবার দিতে হবে। 
  • গরুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিষ্কার পানি খাওয়াতে হবে। 
  • নিয়মিত পশু চিকিৎসককে দেখাতে হবে। 

অসুস্থ গরুর যত্ন যে ভাবে নিতে হয় 

গরুর বাড়িতে বা খামারে যেভাবেই পালন করা হোক না কেন গরু রোগে আক্রান্ত হলে একজন পশুর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাড়াতাড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে রোগ ছড়ায় কম এবং গরুর সুস্থ হয় তাড়াতাড়ি। করবো আমাদের গৃহপালিত পশু তাই এর অসুস্থ হয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। গরু নিয়মিত পশু চিকিৎসক কে দেখাতে হবে এবং গরুর অসুখ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। বর্তমান সময়ে  গরু যেসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে খুরা রোগ, মাঙ্কি পক্স, গুটি বসন্ত,  ইত্যাদি। এর মধ্যে অনেক ছোঁয়াচে রোগ আছে। 

তাই কোনো গরু অসুস্থ হলে সেই গরুকে আলাদা রাখতে হবে এবং তার পরিচর্যা আলাদাভাবে নিতে হবে। না হলে অন্য সব গরুর মাঝে সে অসুখ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সংক্রমণের এরাতে আক্রান্ত গরুকে আলাদা রাখতে হবে। গুরু অসুস্থ হওয়ার আগে কিছু ফুরফান দেখা যায় কেমন গরু ভালোভাবে খাবেনা, গরুর মাঝে কেমন আলসেমি কাজ করবে, গরু স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করবে না। এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে। গরুকে এক মাস অন্তর কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়াতে হবে। গুরকে কখনো ভেজা স্যাতস্যাঁতে জায়গায় রাখা যাবে না। 

শেষ কথা : সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি 

সঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি নিয়ে আজ আমার বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি এ থেকে আপনি আপনার প্রয়োজন টিপস গুলো খুজে পেয়েছেন। যে সব পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি অতি সহজেই গরু মোটাতাজা করুন করতে পারবেন সফলভাবে। কৃষি প্রধান দেশে গরু আমাদের বাড়তি আয়ের উৎস তাই ঠিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি যারা আমাদের জরুরী। নিয়ম মেনে প্রতিদিন গরুকে পুষ্টিকর দানাদার খাবার দিতে হবে। সর্বপরি আমাদের গরুগুলো নিয়মিত পশুর চিকিৎসকে দেখাতে হবে। 

গরু, মহিষ, ছাগল এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে পালন করতে পারি। পশু পালনের জন্য আমাদের কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় তার মধ্যে মোটাতাজাকরণ একটি। মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি পশুপালনের লাভবান হওয়া যায় দ্রুত। তাই আমাদের এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনাদের কোন উপকারে এসে থাকে তবে অবশ্যই আমাদের পাশে থাকবেন পরবর্তী আপডেট পাওয়ার জন্য। এবং কোন সমস্যা তোমার থাকলে অবশ্যই জানাবেন কমেন্ট বক্সে। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এএন আইটি কেয়ার নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url